শুকানো অশ্রু
– মঙ্গল মন্ডল
চোখে এক ফোঁটা জল এসেছিল ,
স্বাভাবিক ভাবেই নিচে গড়াতে যাবে
ঠিক তখনই হঠাৎ অশ্রু থেমে গেল ,
তাকে আর ঝরে পরতে হলো না মাটিতে,
চোখের কোণে শান্ত মনে শুকিয়ে গেছে ,
পূর্ণ দু চোখে কান্না শোভা পায় না যে আর!
সে তো অনেক বড় হয়ে গেছে আজ,
চোখের জলে নয় চলতে হবে মনের বলে।
পাহাড় কাঁধে নিয়ে পর্বত চূড়ায় উঠতে হবে,
তবু আড়ালে সকালে দুপুরে শুকানো অশ্রু
আজও মুখের আদলে দাগ টেনে দেয়,
কান্না আসে আর চলে যায় যেন ডুমুরের ফুল,
তাই দেখতে পাবে না কেউ, এমনকি সে নিজেও।
শুকনো চোখের জলে এক ফোঁটা লোনা রয়ে গেছে।
একদিন সকালে হঠাৎ পিরিত জাগলো মনে,
ভাবলাম একার পথে পাশে পথিক পেলাম বুঝি,
পিরিত করা কি এতই সহজ? ভাবলেই আসবে?
পাশের ওই পথিক না দেখেই চলে গেল নিরব করে,
আমার যেন আবার শুকানো অশ্রু ভিজেছিল,
মনের বলে উৎসে আবার লাগাম দিয়েছিলাম।
সেই জলমগ্ন বৃষ্টি চোখের পাতায় এসে লুকালো।
আর না আসে অচেনা পথিক
না জাগে পিরিত এ মনে
তবু শুকানো অশ্রু আজও
দেখা যায় কাঁপানো ঠোঁটের কোণে।